
মাগুরা প্রতিনিধ,
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যা জানালেন, *গণঅধিকার পরিষদ মাগুরা জেলার সাবেক নেতা ও কর্মীরা।প্রিয় দেশবাসী ও সাংবাদিকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সাংবাদিক বৃন্দ এবং নেতৃবৃন্দ কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ ২০ই জুন ২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ টার সময় সাজিয়াড়া ঢাল থেকে আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে গণঅধিকার পরিষদ এর গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক, সাংগঠনিক পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম একনায়কতন্ত্র, বৈষম্যভিত্তিক চিন্তাধারা এবং কমিটি বানিজ্যের মত নোংরা রাজনীতির চর্চা সম্প্রতি সময়ে আমাদের নজরে এসেছে। আমরা মাগুরা জেলা গণঅধিকার পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মাগুরাবাসীকে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন এবং সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত অর্থায়নে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম।একইসাথে বলছি আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করে বিভিন্নভাবে আহত হয়েছি। আমরা তরুণ প্রজন্ম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অতীতের স্বৈরাচারী আচরণ, একনায়কতন্ত্র এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে জনগণকে একটি সুপ্তধারার রাজনীতি চর্চার সুযোগ দিতে সব সময় তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা মূলক বার্তা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে গিযেছি। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে গণঅধিকার পরিষদ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা দেশবাসীর কাছে দেওয়া আমাদের পূর্বের অঙ্গিকার এবং কার্যক্রমের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এমতাবস্থায় কয়েকবার বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় সংসদ কে অবগত করার পরেও তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের চিত্র দেখা যায়নি। উল্টো স্বৈরাচারী মনোভঙ্গি, একনায়কতন্ত্র, সিন্ডিকেটের মত একপাক্ষিক ক্ষমতা এবং কমিটি বানিজ্যের মত প্রতারণার আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে যা সম্প্রতি মাগুরা জেলায় যুব অধিকার পরিষদ এর কমিটি গঠনে পরিষ্কার উঠে এসেছে।
এমতাবস্থায় ন্যায়নীতি এবং বিবেকের জায়গা থেকে জাতির সাথে রাজনীতির নামে ধোকাবাজি ও তামাশা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। প্রিয় দেশবাসী গণঅধিকার পরিষদ এর জন্মলগ্ন ও নিবন্ধন থেকে শুরু করে জীবন বাজি রেখে সাবেক ফ্যাসিস্টআওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেও আজ আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যা শুধুমাত্র পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, ন্যায়নীতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। তবুও হাতে গড়া বহু ত্যাগ ও লড়াই সংগ্রামের সংগঠন থেকে পদত্যাগ করার একটাই বার্তা দেশবাসী ও তরুণ প্রজন্ম কে দিতে চাই সেটা হলো ব্যক্তির চেযে দল বড় আর দলের চেয়ে আমাদের দেশ বড়। তাই আমরা তরুণ প্রজন্ম কোনো ব্যক্তি, দল কিংবা আমাদের এতোদিনের সংগ্রামের অবদানকে পিছনে ফেলে আজ দেশের জন্য গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছি। বাস্তবতা এটাই গণঅধিকার পরিষদ এর লক্ষ্য উদ্দেশ্যর সাথে কাজের কোনো মিল নেই। নব্য এই ফ্যাসিজমের সংগঠন এর সাথে নিজেদের কে জড়িয়ে বিবেকের জায়গা থেকে দেশবাসীর সাথে আর প্রতারণা করতে পারি না।প্রিয় দেশবাসী দেশপ্রেম, জনগণের অধিকার, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সচল রাখতে আমরা জনগণের জন্য রাজনীতির মাঠে থাকবো। তবে এই মুহূর্তে আমরা নতুন কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এর সাথে যুক্ত হওয়ার চিন্তাভাবনা করি নাই।আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সকলের মতামত কে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে ১৯৫২ থেকে শুরু করে ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান কে ধারণ করে নতুন কিছু করলে অবশ্যই আপনাদের সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দআমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভূতি, সহনশীলতার জায়গা থেকে কোনো প্রকার নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে সুন্দর পন্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি সেজন্য আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের অহংকার। সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতায় আগামীর বাংলাদেশ হোক উন্নত ও সমৃদ্ধশালী।জেলা গণ অধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ১/ মোঃ রাসেল মজুমদার -সহ সভাপতি২/ মোঃ তোকান মোল্লা – সহ সভাপতি৩/ মোঃ জাহিদুল ইসলাম কুদ্দুস – সহ সাধারণ সম্পাদক৪/ মোঃ হাবিবুর রহমান – সহ সাধারণ সম্পাদক৫/ বি.এম. ফররুখ আহমেদ – দপ্তর সম্পাদক৬/ মোঃ মাজেদুল হক – মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক৭/ মোঃ এনামুল মোল্লা – সহ সাংগঠনিক সম্পাদক৮/ মোঃ ফয়সাল আহমেদ – সহ সাংগঠনিক সম্পাদক৯/ মোঃ ইদ্রিস আলী ডাঃ – দূর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক১০/ মোঃ ইয়াসিন আরাফাত – সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক১১/ মোঃ মোস্তাইম জামান সজল – সহ সাংগঠনিক সম্পাদক১২/ মোঃ রিয়াজ পাটোয়ারী – সিনিয়র সদস্য১৩/ মোঃ ওহিদুজ্জামান রাব্বানী – সাবেক আহ্বায়ক, মোহাম্মদপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ১৪/ মো আনোয়ার জাহিদ সুজন – সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি যুব অধিকার পরিষদ১৫/ মোঃ আলী কদর – সাবেক সহ- সভাপতি, জেলা যুব অধিকার পরিষদ১৬/ মোঃ খায়রুল শেখ – সিনিয়র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, যুব অধিকার পরিষদ।১৭/ মোঃ হাসান ইমাম পলক – সহ সাধারণ সম্পাদক যুব অধিকার পরিষদ১৮/ মোঃ জলিল জুয়েল – সাবেক সিনিয়র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, যুব অধিকার পরিষদ১৯/ পল্লব বিশ্বাস – সাবেক অর্থ সম্পাদক, সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ২০/ মোহাম্মদ সাবু- সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক অধিকার পরিষদ২১/ মাইনুল ইসলাম – সিনিয়র সহ-সভাপতি গণ অধিকার পরিষদ মোহাম্মদপুর উপজেলা২২/ মোঃ ইয়াসিন আরাফাত- সাবেক যুব অধিকার পরিষদ২৩/ মোঃ তারিখ বিশ্বাস- সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ২৪/ মোঃ মোস্তাইম জামান সজল – সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গণ অধিকার পরিষদ২৫/ মোঃ আল মামুন – জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদ২৬/ মোঃ ইসরাফিল মৃধা – সহ প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ২৭/ মোঃ ইমদাদুল হক মিলন – সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, যুব অধিকার পরিষদ।২৮/ মোঃ শিপন – সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক, যুব অধিকার পরিষদ।২৯/ মোঃ জুয়েল হোসেন – দূর্নীতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্পাদক, শ্রমিক অধিকার পরিষদ।৩০/ মোঃ শিহাব উদ্দিন, সাবেক জেলা যুব অধিকার পরিষদ৩১/ মোঃ ইমরান হোসেন, সাবেক জেলা যুব অধিকার পরিষদ।৩২/ মোঃ সবুর সর্দার, জেলা যুব অধিকার পরিষদ।৩৩/ মোঃ রাকিবুল ইসলাম – মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্পাদক, শ্রমিক অধিকার পরিষদ৩৪/ মোঃ ইকরাম শেখ – সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদ৩৫/ মোঃ নিরব জাকারিয়া – সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব, সদর উপজেলা৩৬/ মোঃ ইমরান হোসেন – সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদপুর উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ।৩৭/ মোঃ বাহারুল ইসলাম, সাবেক যুব অধিকার পরিষদ৩৮/ মোঃ ইমরান শিকদার, সাবেক যুব অধিকার পরিষদ৩৯/ মোঃ পলাশ আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদ।৪০/ মোঃ রজব আলী – শ্রমিক অধিকার পরিষদ।৪১/ মোঃ মিজানুর রহমান, সাবেক সহ সভাপতি গণ অধিকার পরিষদ।