
নিঃসন্দেহে, পৃথিবীতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন করেছেন এমন অনেক মানুষই জীবনের শুরুতে “ব্যর্থ” বলে চিহ্নিত ছিলেন। নিচের উদাহরণগুলো সেটারই প্রমাণ—
১. টমাস আলভা এডিসন
স্কুলে ভর্তি হওয়ার মাত্র চার মাস পর তাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল – কারণ তার শিক্ষকরা বলেছিলেন তিনি “মানসিকভাবে দুর্বল”। অথচ সেই এডিসন-ই পরবর্তীতে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারকদের একজন হিসেবে পরিচিত হলেন।
২. চার্লস ডারউইন
চিকিৎসাশাস্ত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তার বাবা ক্ষোভে বলে ওঠেন, “তুমি কেবল কল্পনাই কর, বাস্তবে কিছুই করো না!” কিন্তু সেই “কল্পনা”ই পরবর্তীতে জীববিজ্ঞানে বিপ্লব এনে দেয়।
৩. ওয়াল্ট ডিজনি
সৃজনশীলতা নেই – এই অজুহাতে তাকে সংবাদপত্রের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আজ তার তৈরি বিনোদন সাম্রাজ্য সারা পৃথিবীর শিশুবৃন্দের স্বপ্নের নাম।
৪. বিথোভেন
তার সঙ্গীত শিক্ষক পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন – “তোমার কোনো প্রতিভা নেই”। অথচ তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সিম্ফনি ও রিদমিক আইডিয়ার জন্ম দিয়েছিলেন।
৫. আলবার্ট আইনস্টাইন
চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলেননি। শিক্ষকরা তাকে “মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী” বলে মনে করতেন। অথচ ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর নাম আজ আইনস্টাইন।
৬. অগাস্ট রডিন
আর্ট স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় তিনবার ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার বাবা তাকে “বোকা” বলে অভিহিত করেছিলেন। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্করের মর্যাদা ধরে রেখেছেন।
৭. মোজার্ট
সম্রাট ফার্দিনান্দ তার “দ্য ম্যারেজ অব ফিগারো” নিয়ে বলেছিলেন – “অতিরিক্ত নোট আছে!” কিন্তু ইতিহাসের দৃষ্টিতে মোজার্টের প্রতিভার সামনে কোনো সমালোচনা টিকতে পারেনি।
৮. দিমিত্রি মেন্ডেলিফ
রসায়নে গড় নম্বর পাওয়া একজন ছাত্র ছিলেন তিনি—কিন্তু পরে তিনিই গঠন করেছিলেন পর্যায় সারণী, যা বিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি পরিবর্তন করে দেয়।
৯. হেনরি ফোর্ড
ব্যক্তিগত জীবনে বহুবার দেউলিয়াত্বের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু হাল না ছেড়ে এক সময় তিনি অটোমোবাইল জগতের কিংবদন্তি হয়ে উঠলেন।
১০. মার্কনি
রেডিও নিয়ে তার ধারণা যখন প্রকাশ করলেন, বন্ধুরা তাকে উন্মাদ মনে করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। কয়েক মাসের মধ্যেই সেই উদ্ভাবন অসংখ্য প্রাণ রক্ষা করল, আজ যা মোবাইল ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ভিত্তি।
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ শিক্ষা: ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷
অন্যের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি কখনও আপনার সম্ভাবনাকে নির্ধারণ করতে দেবেন না। কখনও কখনও মহানত্বের শুরুটা হয় ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে। অন্যায়কারী সবসময় ন্যায়কারীকে হিংসা করবে। সুতরাং ভেঙে পড়বেন না—নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন।
“সংকলক”
এ. কে. এম. মাজেদুল আলম (ইভান)
সহ–সভাপতি,
মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি
📞 +8801818329090 evan.magura@gmail.com