, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামকে জেলা প্রশাসনের বিদায়ী শুভেচ্ছা মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শালিখায় সিএনআরএস এর সহযোগিতায় ব্রি-৮৮ ধান বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান মাগুরার মহম্মদপুরে নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিক্রয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুরে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা পরিষদের বাইসাইকেল ও শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ মাগুরা শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরায় জেলা পরিষদের চেক বিতরণ: ৩৯ জন অসহায় পেলেন এককালীন আর্থিক অনুদান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির অপচেষ্টার প্রতিবাদে মাগুরায় মানববন্ধন

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

  • Jarin Tasnim Alam
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩১৮ পড়া হয়েছে

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজকের দিনে আমরা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (Huseyn Shaheed Suhrawardy) ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী,তাঁর আদর্শ, চিন্তাধারা এবং রাজনীতিতে অবদানের কথা স্মরণ করি এবং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য আরও উন্নত ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করি।

সোহরাওয়ার্দী ব্রিটিশ ভারতের সময়ও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে, তিনি পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশের অংশ) এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। তিনি গণতন্ত্র, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়। তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর  প্রয়াত হন।
১৯৫৭ সালে Foreign Affairs ম্যাগাজিনে প্রকাশিত “পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র” প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে উপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারকে চিহ্নিত করেন। তিনি আত্মতুষ্টি ও অজুহাতকে প্রত্যাখ্যান করে সৎ আত্মসমালোচনার আহ্বান জানান। সোহরাওয়ার্দী বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়; স্বৈরতন্ত্র দুর্নীতি ও বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের জনগণ রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত।

তিনি পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন, বিচার বিভাগের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সংসদীয় জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার পক্ষেও অবস্থান নেন এবং আলাদা নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি গোপনীয়তার পরিবর্তে খোলামেলা আলোচনার পক্ষে মত দেন এবং জাতীয় সংসদে এই নীতি নিয়ে বিতর্ক আহ্বান জানান। সোহরাওয়ার্দীর মতে, প্রকৃত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে জনগণের আস্থা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

জনপ্রিয়

মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামকে জেলা প্রশাসনের বিদায়ী শুভেচ্ছা

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশের সময় : ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজকের দিনে আমরা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (Huseyn Shaheed Suhrawardy) ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী,তাঁর আদর্শ, চিন্তাধারা এবং রাজনীতিতে অবদানের কথা স্মরণ করি এবং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য আরও উন্নত ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করি।

সোহরাওয়ার্দী ব্রিটিশ ভারতের সময়ও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে, তিনি পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশের অংশ) এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। তিনি গণতন্ত্র, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়। তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর  প্রয়াত হন।
১৯৫৭ সালে Foreign Affairs ম্যাগাজিনে প্রকাশিত “পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র” প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে উপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারকে চিহ্নিত করেন। তিনি আত্মতুষ্টি ও অজুহাতকে প্রত্যাখ্যান করে সৎ আত্মসমালোচনার আহ্বান জানান। সোহরাওয়ার্দী বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়; স্বৈরতন্ত্র দুর্নীতি ও বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের জনগণ রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত।

তিনি পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন, বিচার বিভাগের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সংসদীয় জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার পক্ষেও অবস্থান নেন এবং আলাদা নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি গোপনীয়তার পরিবর্তে খোলামেলা আলোচনার পক্ষে মত দেন এবং জাতীয় সংসদে এই নীতি নিয়ে বিতর্ক আহ্বান জানান। সোহরাওয়ার্দীর মতে, প্রকৃত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে জনগণের আস্থা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে।