রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে "নুরাল পাগলা"র দরবার শরীফে সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামের এক অনুসারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মো. আজাদ মোল্লা মামলা দায়ের করেছেন। ৫ সেপ্টেম্বরের সংঘর্ষে নুরুল হকের অনুসারী রাসেল নিহত হন, যখন শত শত মানুষ দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে, কবর থেকে নুরুল হকের মরদেহ উত্তোলন করে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সংঘটিত এ সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার, ৮সেপ্টেম্বর রাতে গোলন্দা ঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব জানান, মামলায় হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, মৃতদেহ দাহ, ভাঙচুর, চুরি এবং মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।জুমার নামাজের পর সংঘর্ষে জড়ায় পীর দাবিদার নুরুল হকের অনুসারী ও "ইমান-আকীদা রক্ষা কমিটি"র ব্যানারে একত্রিত স্থানীয়রা। এ ঘটনায় একজন নিহত হন এবং একজন সাংবাদিকসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে বিক্ষোভকারীরা গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের পাঁচ সদস্য এবং প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও হামলা ও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন। ওসি বলেন ,"আমরা ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি,"
পুলিশ এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে—মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মো. আব্দুল লতিফ (৩৫) এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ওভি মণ্ডল (২৯)।
এর আগে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা আরেকটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ জন অজ্ঞাতনামাকে পুলিশ ও যানবাহন হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।