
মাগুরায় হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উপর হামলা ও নতুন মব সৃষ্টির আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর ধারাবাহিক হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নতুন করে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) সৃষ্টির পাঁয়তারা প্রতিবাদে সংগঠনটির জেলা শাখা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় হাজীপুর কমপ্লেক্স এ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তারা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা হেযবুত তওহীদের সহ-সভাপতি মো. লতিফুল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেন, শুক্রবার চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহারা পশ্চিমপাড়া ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মো. এনামুল জুম্মার খুতবায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুসল্লিদের উসকে দেন। এর জেরে শনিবার সকালে ইমামের নেতৃত্বে মৃত নূর মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মো. মঞ্জু, মৃত মহসিনের ছেলে মো. তাকওয়া প্রমুখ একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান ও মো. আব্দুল মতিনের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা আগামীকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় একটি তথাকথিত ‘শালিশি বৈঠক’-এ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ডেকে পাঠিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই শালিশকে আড়াল করে একটি মব তৈরি করে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন, অপমান এবং এলাকাছাড়া করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, হেযবুত তওহীদ না ছাড়লে এবং শালিশে হাজির না হলে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।
এছাড়া, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাগুরা পৌরসভায় ঘটে যাওয়া এক বর্বর হামলার ঘটনাও তুলে ধরা হয়। ওই ঘটনায় ইসলামবাগ পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে আবু তাহের, আলফাজসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী হেযবুত তওহীদ সদস্য মো. মধু মিয়ার (৫০) বাড়িতে হামলা চালায়। ‘ইসলামের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে হামলাকারীরা মধু মিয়া ও তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে এবং সবশেষে তার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে হেযবুত তওহীদ প্রশাসনের নিকট তিন দফা দাবি জানায়:
১. মধু মিয়ার উপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত ইমাম আনিসুর রহমানসহ সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ধলহারা গ্রামে যারা নতুন করে মব সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে এবং হুমকি দিচ্ছে, সেই ইমাম এনামুলসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. মাগুরা জেলায় বসবাসরত হেযবুত তওহীদের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।











