, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামকে জেলা প্রশাসনের বিদায়ী শুভেচ্ছা মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শালিখায় সিএনআরএস এর সহযোগিতায় ব্রি-৮৮ ধান বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান মাগুরার মহম্মদপুরে নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিক্রয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুরে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা পরিষদের বাইসাইকেল ও শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ মাগুরা শ্রীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরায় জেলা পরিষদের চেক বিতরণ: ৩৯ জন অসহায় পেলেন এককালীন আর্থিক অনুদান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির অপচেষ্টার প্রতিবাদে মাগুরায় মানববন্ধন

মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে শিশু খাদ্যে ভেজাল, প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩২৩ পড়া হয়েছে

 

মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে শিশু খাদ্যে ভেজাল, প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

 

মো:মইনুর রহমান,পলিন। মাগুরা

 

মাগুরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয় শহরের জামরুলতলা ও পুরাতন বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে জামরুলতলার মেসার্স সুভাস স্টোর-এ বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত, নকল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য মজুদ থাকতে দেখা যায়। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সুভাষ কুমার বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যতে আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।

সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাগুরা জেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে অসংখ্য মানহীন খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই বৈধ লাইসেন্সের আওতাভুক্ত নয়। বিশেষ করে শিশু খাদ্যের মতো জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পণ্যে ভেজাল ও নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার জনজীবনে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে কীভাবে এত বিশাল জেলা জুড়ে বিস্তৃত বাজার ব্যবস্থায় কার্যকর নজরদারি সম্ভব?

প্রতিদিন নতুন নতুন অসৎ ও অবৈধ ব্যবসায়ীরা মানহীন খাদ্য দ্রব্য বিক্রি করে চললেও তা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় দেখা দিয়েছে।

সচেতন মহল মনে করেন, জনস্বার্থে এই খাতে জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক পরীক্ষাগার সুবিধা, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

জনপ্রিয়

মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামকে জেলা প্রশাসনের বিদায়ী শুভেচ্ছা

মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে শিশু খাদ্যে ভেজাল, প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে শিশু খাদ্যে ভেজাল, প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

 

মো:মইনুর রহমান,পলিন। মাগুরা

 

মাগুরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয় শহরের জামরুলতলা ও পুরাতন বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে জামরুলতলার মেসার্স সুভাস স্টোর-এ বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত, নকল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্য মজুদ থাকতে দেখা যায়। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সুভাষ কুমার বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যতে আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।

সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাগুরা জেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে অসংখ্য মানহীন খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই বৈধ লাইসেন্সের আওতাভুক্ত নয়। বিশেষ করে শিশু খাদ্যের মতো জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পণ্যে ভেজাল ও নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার জনজীবনে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে কীভাবে এত বিশাল জেলা জুড়ে বিস্তৃত বাজার ব্যবস্থায় কার্যকর নজরদারি সম্ভব?

প্রতিদিন নতুন নতুন অসৎ ও অবৈধ ব্যবসায়ীরা মানহীন খাদ্য দ্রব্য বিক্রি করে চললেও তা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় দেখা দিয়েছে।

সচেতন মহল মনে করেন, জনস্বার্থে এই খাতে জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক পরীক্ষাগার সুবিধা, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।