, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে চিরতরে অবসর নিলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল মাগুরায় নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট, অর্থদণ্ড ও প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ মাগুরা সদরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্ট, ৩ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরায় অবৈধ ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযান, অর্থদণ্ড আদায় হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন কর বহুগুণ বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাগুরা পৌর প্রশাসকের কাছে বণিক সমিতির স্মারকলিপি মাগুরা নাকোল বাজারে ভোক্তা অধিকার অভিযান: মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য জব্দ, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরা মহম্মদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা, এক আসামি গ্রেপ্তার মাগুরায় নোংরা পরিবেশে দই-মিষ্টি উৎপাদন: মুসলিম সুইটসকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, ৩ দিনের জন্য কারখানা জানাজা যখন রাজনীতি বলে: মুজিব, জিয়া ও হাদির বিদায়ে রাষ্ট্র ও জনমানস মাগুরায় অগ্নিসংযোগের রহস্য উন্মোচন: প্রযুক্তিনির্ভর অভিযানে মাগুরায় তিনজন গ্রেপ্তার

মাগুরায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

মাগুরায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

 

মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলার অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়ক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাইড্রোলিক হর্ন ও অতিরিক্ত শব্দসৃষ্টিকারী যানবাহনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। জনসাধারণের একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে শব্দদূষণে জড়িত ৭টি মোটরযানের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোট সাড়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত ৯টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে সেগুলো ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা না যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মাগুরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. রাফাত আল মেহেদী এবং মো. সিরাজুল ইসলাম। অভিযানে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব।

এ সময় শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, “শব্দদূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকর। আইন অনুযায়ী এসব হর্ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনস্বার্থে নিয়মিত নজরদারি, সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

অভিযানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, আনসার সদস্য এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের এ ধরনের নিয়মিত উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ।

জনপ্রিয়

নির্বাচন ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে চিরতরে অবসর নিলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল

মাগুরায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মাগুরায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

 

মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলার অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়ক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাইড্রোলিক হর্ন ও অতিরিক্ত শব্দসৃষ্টিকারী যানবাহনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। জনসাধারণের একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে শব্দদূষণে জড়িত ৭টি মোটরযানের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোট সাড়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত ৯টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে সেগুলো ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা না যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মাগুরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. রাফাত আল মেহেদী এবং মো. সিরাজুল ইসলাম। অভিযানে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব।

এ সময় শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, “শব্দদূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকর। আইন অনুযায়ী এসব হর্ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনস্বার্থে নিয়মিত নজরদারি, সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

অভিযানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, আনসার সদস্য এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের এ ধরনের নিয়মিত উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ।