, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে চিরতরে অবসর নিলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল মাগুরায় নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট, অর্থদণ্ড ও প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ মাগুরা সদরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্ট, ৩ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরায় অবৈধ ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযান, অর্থদণ্ড আদায় হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন কর বহুগুণ বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাগুরা পৌর প্রশাসকের কাছে বণিক সমিতির স্মারকলিপি মাগুরা নাকোল বাজারে ভোক্তা অধিকার অভিযান: মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য জব্দ, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা মাগুরা মহম্মদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা, এক আসামি গ্রেপ্তার মাগুরায় নোংরা পরিবেশে দই-মিষ্টি উৎপাদন: মুসলিম সুইটসকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, ৩ দিনের জন্য কারখানা জানাজা যখন রাজনীতি বলে: মুজিব, জিয়া ও হাদির বিদায়ে রাষ্ট্র ও জনমানস

মাগুরায় বোমা আতঙ্ক

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • ৬৫১ পড়া হয়েছে

 

মাগুরা প্রতিনিধি

 

মাগুরা শহরের সরকারি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশের সড়কে লাল টেপে মোড়ানো তিনটি বোমাসদৃশ বস্তু  দেখা যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১৬ই আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা প্রথমে এই বস্তুগুলো লক্ষ্য করেন এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলায় দুটি এবং ঠিক পাশে অবস্থিত একটি মার্কেটের সামনে আরেকটি বস্তুর দেখা মেলে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১০ মিটার দূরত্ব ছিল। বস্তুগুলোর আকার ও লাল টেপে মোড়ানো থাকার কারণে পথচারী ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

খবর পেয়ে মাগুরা সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এরপর মাগুরা সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এগুলো বোমা নাকি ককটেল। বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলকে জানানো হয়েছে। তারা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’

তিনি আরও জানান, কে বা কারা এসব বস্তুর মতো দেখতে জিনিসগুলো সেখানে রেখে গেছে, সে বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয়দের থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে আবার নিরাপত্তার আশঙ্কায় এলাকাটি দ্রুত ছেড়ে যান।পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বোমাসদৃশ বস্তুগুলো নিরাপদভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

জনপ্রিয়

মাগুরায় বোমা আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

 

মাগুরা প্রতিনিধি

 

মাগুরা শহরের সরকারি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশের সড়কে লাল টেপে মোড়ানো তিনটি বোমাসদৃশ বস্তু  দেখা যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১৬ই আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা প্রথমে এই বস্তুগুলো লক্ষ্য করেন এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলায় দুটি এবং ঠিক পাশে অবস্থিত একটি মার্কেটের সামনে আরেকটি বস্তুর দেখা মেলে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১০ মিটার দূরত্ব ছিল। বস্তুগুলোর আকার ও লাল টেপে মোড়ানো থাকার কারণে পথচারী ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

খবর পেয়ে মাগুরা সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এরপর মাগুরা সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এগুলো বোমা নাকি ককটেল। বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলকে জানানো হয়েছে। তারা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’

তিনি আরও জানান, কে বা কারা এসব বস্তুর মতো দেখতে জিনিসগুলো সেখানে রেখে গেছে, সে বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয়দের থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে আবার নিরাপত্তার আশঙ্কায় এলাকাটি দ্রুত ছেড়ে যান।পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বোমাসদৃশ বস্তুগুলো নিরাপদভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।